১০:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫, ১০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নওগাঁ জেলার পোরশা উপজেলায় জামায়াতের নির্বাচনী কর্মী কর্মশালা অনুষ্ঠিত ।

  • জনমত ডেস্ক
  • সময়: ১০:৩৬:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫
  • ১৭৮

নওগাঁ জেলার পোরশা উপজেলায় জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচনী কর্মী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে  । উক্ত নির্বাচনী কর্মী কর্মশালায় পোরশা উপজেলায় জামায়াতে ইসলামী মনোনীত  প্রার্থী অধ্যক্ষ মাহবুব আলমের আসন্ন নির্বাচনের  প্রচারণার কৌশল, পরিচালনা এবং কর্মপরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এই কর্মশালাগুলোর মূল লক্ষ্য হলো কর্মীদেরকে নির্বাচন সম্পর্কিত সকল বিষয়ে সচেতন, সুসংগঠিত এবং কার্যকর করে তোলা।

উক্ত কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, মাহফুজুর রহমান নওগাঁ ৩ আসনের জামায়াত মনোনীত এমপি পদপ্রার্থী, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য, নওগাঁ -১ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ মাহবুবুল আলম ,  উপজেলা আমীর মাওলানা সাগর আলী ও সেক্রেটারি শরিফুল ইসলাম। আলচনার বিষয়  বস্তু ছিল –

  • নির্বাচন কমিশনের নিয়মাবলী: কর্মীদের নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রণীত আইন ও বিধিমালা সম্পর্কে অবগত করানো হয়, যাতে কোনো কর্মী বা দল নিয়ম লঙ্ঘন করে কোনো সমস্যায় না পড়ে।
  • আচরণবিধি: প্রচারণার সময় কী করা যাবে এবং কী করা যাবে না, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। যেমন, পোস্টার লাগানো, মাইক ব্যবহার, জনসভা করা, ইত্যাদি বিষয়ে নির্দিষ্ট নিয়ম থাকে।
  • ভোটের দিনের নিয়ম: ভোটকেন্দ্রে ভোটের দিন কর্মীদের কী ধরনের ভূমিকা থাকবে, কী কী নিয়ম মেনে চলতে হবে, তা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
  • প্রার্থীর বার্তা: প্রার্থীর মূল বার্তা, তার ভিশন এবং লক্ষ্য সম্পর্কে কর্মীদের স্পষ্টভাবে জানানো হয়, যাতে তারা ভোটারদের কাছে সঠিক বার্তা পৌঁছে দিতে পারে।
  • লক্ষ্য নির্ধারণ: নির্দিষ্ট নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি পাড়া, মহল্লা, এবং ওয়ার্ডের জন্য প্রচারণার কৌশল নির্ধারণ করা হয়। কোন ধরনের ভোটারদের টার্গেট করা হবে, সে বিষয়ে পরিকল্পনা তৈরি হয়।
  • প্রচারণার পদ্ধতি: কীভাবে প্রচারকার্য চালানো হবে, যেমন- মাইকিং, লিফলেট বিতরণ, গণসংযোগ, বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাওয়া, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার ইত্যাদি বিষয়ে কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
  • বুথ কমিটি গঠন: প্রতিটি ভোটকেন্দ্র বা বুথের জন্য কমিটি গঠন করা হয় এবং প্রতিটি সদস্যের দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়।
  • ভোটার তালিকা: ভোটার তালিকা যাচাই এবং ভোটারদের শনাক্ত করার বিষয়ে কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
  • ভোটের দিনের কার্যক্রম: ভোটের দিন বুথে কী কী কাজ করতে হবে, যেমন- ভোটারদের সহায়তা করা, অনিয়ম পর্যবেক্ষণ করা, এবং ভোটকেন্দ্রের পরিবেশ শান্ত রাখা ইত্যাদি বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
  • ভোটারদের সাথে কথা বলা: কীভাবে ভোটারদের প্রভাবিত করতে হবে, তাদের প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে, এবং প্রার্থীর পক্ষে সমর্থন আদায় করতে হবে, সে বিষয়ে কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
  • ভুল তথ্যের মোকাবেলা: প্রতিপক্ষের ছড়ানো ভুল তথ্য বা গুজব কীভাবে মোকাবেলা করতে হবে, সে বিষয়ে কর্মীদের প্রস্তুত করা হয়।
  • মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়া: কীভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে প্রার্থীর ইতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি করা যায় এবং ভোটারদের সাথে সংযোগ স্থাপন করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করা হয়।

 কর্মীদের মনোবল বৃদ্ধি ও সংগঠন

কর্মীদের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও টিম স্পিরিট বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।প্রতিটি কর্মীকে তার সামর্থ্য অনুযায়ী নির্দিষ্ট দায়িত্ব দেওয়া হয়, যাতে তারা কার্যকরভাবে কাজ করতে পারে। এই ছাড়াও কর্মীদের মনোবল ধরে রাখা এবং তাদের উৎসাহিত করার জন্য বিভিন্ন ধরনের অনুপ্রেরণামূলক আলোচনা করা হয়।

ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

জনপ্রিয় খবর

শীঘ্রই আসছে জনমত নিউজ ২৪

চাঁদাবাজ ও সন্ত্রা/সীদের বিরুদ্ধে আরেকটি যুদ্ধ করতে হবে: ড. হেলাল উদ্দিন (ঢাকা -৮)

নওগাঁ জেলার পোরশা উপজেলায় জামায়াতের নির্বাচনী কর্মী কর্মশালা অনুষ্ঠিত ।

সময়: ১০:৩৬:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫

নওগাঁ জেলার পোরশা উপজেলায় জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচনী কর্মী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে  । উক্ত নির্বাচনী কর্মী কর্মশালায় পোরশা উপজেলায় জামায়াতে ইসলামী মনোনীত  প্রার্থী অধ্যক্ষ মাহবুব আলমের আসন্ন নির্বাচনের  প্রচারণার কৌশল, পরিচালনা এবং কর্মপরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এই কর্মশালাগুলোর মূল লক্ষ্য হলো কর্মীদেরকে নির্বাচন সম্পর্কিত সকল বিষয়ে সচেতন, সুসংগঠিত এবং কার্যকর করে তোলা।

উক্ত কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, মাহফুজুর রহমান নওগাঁ ৩ আসনের জামায়াত মনোনীত এমপি পদপ্রার্থী, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য, নওগাঁ -১ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ মাহবুবুল আলম ,  উপজেলা আমীর মাওলানা সাগর আলী ও সেক্রেটারি শরিফুল ইসলাম। আলচনার বিষয়  বস্তু ছিল –

  • নির্বাচন কমিশনের নিয়মাবলী: কর্মীদের নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রণীত আইন ও বিধিমালা সম্পর্কে অবগত করানো হয়, যাতে কোনো কর্মী বা দল নিয়ম লঙ্ঘন করে কোনো সমস্যায় না পড়ে।
  • আচরণবিধি: প্রচারণার সময় কী করা যাবে এবং কী করা যাবে না, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। যেমন, পোস্টার লাগানো, মাইক ব্যবহার, জনসভা করা, ইত্যাদি বিষয়ে নির্দিষ্ট নিয়ম থাকে।
  • ভোটের দিনের নিয়ম: ভোটকেন্দ্রে ভোটের দিন কর্মীদের কী ধরনের ভূমিকা থাকবে, কী কী নিয়ম মেনে চলতে হবে, তা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
  • প্রার্থীর বার্তা: প্রার্থীর মূল বার্তা, তার ভিশন এবং লক্ষ্য সম্পর্কে কর্মীদের স্পষ্টভাবে জানানো হয়, যাতে তারা ভোটারদের কাছে সঠিক বার্তা পৌঁছে দিতে পারে।
  • লক্ষ্য নির্ধারণ: নির্দিষ্ট নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি পাড়া, মহল্লা, এবং ওয়ার্ডের জন্য প্রচারণার কৌশল নির্ধারণ করা হয়। কোন ধরনের ভোটারদের টার্গেট করা হবে, সে বিষয়ে পরিকল্পনা তৈরি হয়।
  • প্রচারণার পদ্ধতি: কীভাবে প্রচারকার্য চালানো হবে, যেমন- মাইকিং, লিফলেট বিতরণ, গণসংযোগ, বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাওয়া, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার ইত্যাদি বিষয়ে কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
  • বুথ কমিটি গঠন: প্রতিটি ভোটকেন্দ্র বা বুথের জন্য কমিটি গঠন করা হয় এবং প্রতিটি সদস্যের দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়।
  • ভোটার তালিকা: ভোটার তালিকা যাচাই এবং ভোটারদের শনাক্ত করার বিষয়ে কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
  • ভোটের দিনের কার্যক্রম: ভোটের দিন বুথে কী কী কাজ করতে হবে, যেমন- ভোটারদের সহায়তা করা, অনিয়ম পর্যবেক্ষণ করা, এবং ভোটকেন্দ্রের পরিবেশ শান্ত রাখা ইত্যাদি বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
  • ভোটারদের সাথে কথা বলা: কীভাবে ভোটারদের প্রভাবিত করতে হবে, তাদের প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে, এবং প্রার্থীর পক্ষে সমর্থন আদায় করতে হবে, সে বিষয়ে কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
  • ভুল তথ্যের মোকাবেলা: প্রতিপক্ষের ছড়ানো ভুল তথ্য বা গুজব কীভাবে মোকাবেলা করতে হবে, সে বিষয়ে কর্মীদের প্রস্তুত করা হয়।
  • মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়া: কীভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে প্রার্থীর ইতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি করা যায় এবং ভোটারদের সাথে সংযোগ স্থাপন করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করা হয়।

 কর্মীদের মনোবল বৃদ্ধি ও সংগঠন

কর্মীদের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও টিম স্পিরিট বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।প্রতিটি কর্মীকে তার সামর্থ্য অনুযায়ী নির্দিষ্ট দায়িত্ব দেওয়া হয়, যাতে তারা কার্যকরভাবে কাজ করতে পারে। এই ছাড়াও কর্মীদের মনোবল ধরে রাখা এবং তাদের উৎসাহিত করার জন্য বিভিন্ন ধরনের অনুপ্রেরণামূলক আলোচনা করা হয়।