০৭:২১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কিশোরগঞ্জের একজন প্রতারক ও মানব পাচারকারী নাম অন্তর ।

  • জনমত ডেস্ক
  • সময়: ০১:১৪:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫
  • ১৭০

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কিশোরগঞ্জের হোসেন পুর উপজেলার কাইসমা ফদরগাতি ১ নং ওয়ার্ডের গিয়াস উদ্দিন এর ছেলে অন্তর একজন প্রতারক ও মানব পাচারকারী । মানব পাচারকারীদের সাথে জড়িয়ে বিদেশে নেওয়ার প্রলোভন দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এই চক্রের মূলহোতা অন্তর । এর সাথে জড়িত রয়েছে তার স্ত্রী পাপিয়া, শশুর মতি মিয়া ও শ্যালকরা । এই প্রতারকের বিয়ের পর বাবার সাথে তেমন সম্পর্ক না থাকলেও জামাইয়ের অবৈধ টাকার জন্য শশুর ও শ্যালকরা জড়িয়ে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে অসহায় পরিবার গুলোকে টার্গেট করে বিদেশে নেওয়ার নাম করে হাতিয়ে নিয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা । ভুয়া ভিসা দিয়ে কারো ভাগ্যে জুটেছে জেল কেউবা চাকরি পেলও কয়েকদিন পর চাকরী হারিয়ে কাঁদছে আর কেউবা ভুয়া ভিসা বুঝতে পেরে দেশে সর্বস্ব হারিয়ে ঘুরছে দ্বারে দ্বারে বিচারের আসায় । আজকের এই পর্বে এই প্রতারকের ব্যাপারে আমাদের অনুসন্ধান করে আব্দুর রশিদ নামে একজনের সন্ধান পাই “জনমত নিউজের অনুসন্ধানী টীম , আব্দুর রশিদ পিতা মৃত আব্দুল মান্নান , ডাকঃ নিশ্চিন্ত পুর উপজেলা সাপাহার,জেলা নওগাঁ । তিনি একজন গার্মেন্টস কর্মী, তিনি তাঁর স্ত্রী, তিন সন্তান সহ বসবাস করছেন টঙ্গী এলাকায় ।

প্রতারকের শশুরের এক পরিচিত জনের সাথে সেখানে একই সাথে বসবসের সুবাদে এই অন্তর নামে প্রতারকের সন্ধান পাই । প্রথমে মোবাইল ফোনে কথা হলেই পরবর্তীতে আব্দুর রশিদ এর সাথে অন্তর ও তাঁর শশুরের পরিবারের সখ্যতা গড়ে উঠে । তাদের টার্গেট ছিল তাঁর সর্বস্ব লুটে নেওয়া কিন্ত সহজ সরল আব্দুর রশিদ তা বুঝতে পারেনি ।

সৌদি ( বিদেশ) নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়ার পর থেকে সম্পর্ক আরও গাড় হয় । ভাল চাকরি ও অনেক টাকা বেতনের প্রলোভন দিয়ে তাকে রাজি করাতে পারলে , আব্দুর রশিদ ধাপে ধাপে মোবাইল বিকাশ নগদ (০১৭৫৯৫৫৬৫১৯) একটা ডাচ বাংলা একাউন্টের (১০২১৫৭০০৪২৩৪৪) মাধ্যমে ও তাঁর স্ত্রী শশুরের হাতে ক্যাশ টাকা প্রায় ৬ লক্ষ পরিশোদ হলে সে তাকে নিশ্চিত করে আপনার ভিসা হয়েছে ,

মর্মে ২৯ এপ্রিল ২০২৫ ৪ জনের নামে ( আব্দুর রশিদ ,সিরাজুল , বরহান, সামিম ও নাজমুল) টিকেট বুকিং দেয় এবং ২৪ মে ২০২৫ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস বিজি-৩৩৯ ফ্লাইট কনফার্ম করে দেয় । আব্দুর রশিদ তখনো বুঝতে পারেনি সে প্রতারনার ফাঁদে পড়েছে।

প্রতারনার অংশ হিসাবে এই চতুর অন্তর তাঁর নিজস্ব কোন একাউন্ট ব্যবহার করেনি। অবশেষে তাকে ভিসা নং ৬১৩৪৩৭৮২১৫ দিয়ে সবকিছু ঠিকঠাক আছে বলে নিশ্চিত করে।

আব্দুর রশিদ চাকরি থেকে অব্যহতি নেওয়ার প্রস্তুতি নিলে ভিসা কপিসহ অব্যহতির আবেদন দিতে গেলে জানতে পারে অফিস থেকে , এই ভিসা তাঁর নামে নেই আপনি প্রতারনায় পড়েছেন ।আব্দুর রশিদ পুনরায় ভিসা চেক দেওয়ার জন্য পাশে কম্পিউটার এর দোকানে গেলে নিশ্চিত হন যে গোলাম কিবরিয়া নামে একজনের ভিসা এডিট করে তাকে পাঠিয়েছে প্রতারক চক্রের মূলহোতা অন্তর । এই বিষয়ে তাঁর কাছে জানতে চাইলে আব্দুর রশিদকে এক পর্যায়ে তাঁর স্ত্রী দিয়ে ফাঁসানোর ভয় দেখায়।

ভুক্তভুগি প্রতারক চক্র প্রভাবশালী হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আশংকার কথা জানিয়েছে । সবশেষে অনুসন্ধানী টীম এই চক্রের মূলহোতাকে মোবাইলে কল দিলে প্রতারক বলে উনার টাকার দেওয়ার কোন প্রমাণ নাই বরং তাঁর কাছ থেকে আরও ৭০ হাজার টাকা পায় ।

তবে আমাদের অনুসন্ধানী টীম বাকি আরও চারজন ভুক্তভুগির সাথে যোগাযোগ করলে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এমনটাই অভিযোগ করেছে এই প্রতারক চক্রের মুলহোতা অন্তরের নামে ।

এলাকায় তথ্য নিয়ে জানা যায় এইভাবে এই প্রতারক, ইউরোপ , মধ্যপ্রাচ্যসহ অনেক জায়গায় লোক পাঠানোর কথা বলে অনেক কে হয়রানি ও মানব পাচার চক্রের সাথে জড়িয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ।

এখন তাঁর সব শেষ পরিবার নিয়ে অসহায় হয়ে পরেছে । গার্মেন্টসের সামন্য সামান্য করে জমানো টাকা হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছে আব্দুর রশিদের পরিবারটি ।

হোসেন পুর এলাকার সচেতন মহলের দাবি এই সব প্রতারকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে আরও অনেক পরিবার নিঃস্ব হয়ে যাবে , তাঁরা আরো বলেন অন্তর একজন জুয়ায় আসক্ত ছেলে । জুয়ার টাকা জোগাড় করতেই এমন প্রতারনার আশ্রয় নিয়েছে ।

আমদের পরের অনুসন্ধানে অন্য আরেকজন ভুক্তভুগির নিঃস্ব হয়ে যাওয়ার রিপোর্ট দেখতে পাবেন ।

ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

জনপ্রিয় খবর

শীঘ্রই আসছে জনমত নিউজ ২৪

ইতালির প্রধানমন্ত্রীর এশিয়া সফর স্থগিত।

কিশোরগঞ্জের একজন প্রতারক ও মানব পাচারকারী নাম অন্তর ।

সময়: ০১:১৪:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কিশোরগঞ্জের হোসেন পুর উপজেলার কাইসমা ফদরগাতি ১ নং ওয়ার্ডের গিয়াস উদ্দিন এর ছেলে অন্তর একজন প্রতারক ও মানব পাচারকারী । মানব পাচারকারীদের সাথে জড়িয়ে বিদেশে নেওয়ার প্রলোভন দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এই চক্রের মূলহোতা অন্তর । এর সাথে জড়িত রয়েছে তার স্ত্রী পাপিয়া, শশুর মতি মিয়া ও শ্যালকরা । এই প্রতারকের বিয়ের পর বাবার সাথে তেমন সম্পর্ক না থাকলেও জামাইয়ের অবৈধ টাকার জন্য শশুর ও শ্যালকরা জড়িয়ে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে অসহায় পরিবার গুলোকে টার্গেট করে বিদেশে নেওয়ার নাম করে হাতিয়ে নিয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা । ভুয়া ভিসা দিয়ে কারো ভাগ্যে জুটেছে জেল কেউবা চাকরি পেলও কয়েকদিন পর চাকরী হারিয়ে কাঁদছে আর কেউবা ভুয়া ভিসা বুঝতে পেরে দেশে সর্বস্ব হারিয়ে ঘুরছে দ্বারে দ্বারে বিচারের আসায় । আজকের এই পর্বে এই প্রতারকের ব্যাপারে আমাদের অনুসন্ধান করে আব্দুর রশিদ নামে একজনের সন্ধান পাই “জনমত নিউজের অনুসন্ধানী টীম , আব্দুর রশিদ পিতা মৃত আব্দুল মান্নান , ডাকঃ নিশ্চিন্ত পুর উপজেলা সাপাহার,জেলা নওগাঁ । তিনি একজন গার্মেন্টস কর্মী, তিনি তাঁর স্ত্রী, তিন সন্তান সহ বসবাস করছেন টঙ্গী এলাকায় ।

প্রতারকের শশুরের এক পরিচিত জনের সাথে সেখানে একই সাথে বসবসের সুবাদে এই অন্তর নামে প্রতারকের সন্ধান পাই । প্রথমে মোবাইল ফোনে কথা হলেই পরবর্তীতে আব্দুর রশিদ এর সাথে অন্তর ও তাঁর শশুরের পরিবারের সখ্যতা গড়ে উঠে । তাদের টার্গেট ছিল তাঁর সর্বস্ব লুটে নেওয়া কিন্ত সহজ সরল আব্দুর রশিদ তা বুঝতে পারেনি ।

সৌদি ( বিদেশ) নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়ার পর থেকে সম্পর্ক আরও গাড় হয় । ভাল চাকরি ও অনেক টাকা বেতনের প্রলোভন দিয়ে তাকে রাজি করাতে পারলে , আব্দুর রশিদ ধাপে ধাপে মোবাইল বিকাশ নগদ (০১৭৫৯৫৫৬৫১৯) একটা ডাচ বাংলা একাউন্টের (১০২১৫৭০০৪২৩৪৪) মাধ্যমে ও তাঁর স্ত্রী শশুরের হাতে ক্যাশ টাকা প্রায় ৬ লক্ষ পরিশোদ হলে সে তাকে নিশ্চিত করে আপনার ভিসা হয়েছে ,

মর্মে ২৯ এপ্রিল ২০২৫ ৪ জনের নামে ( আব্দুর রশিদ ,সিরাজুল , বরহান, সামিম ও নাজমুল) টিকেট বুকিং দেয় এবং ২৪ মে ২০২৫ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস বিজি-৩৩৯ ফ্লাইট কনফার্ম করে দেয় । আব্দুর রশিদ তখনো বুঝতে পারেনি সে প্রতারনার ফাঁদে পড়েছে।

প্রতারনার অংশ হিসাবে এই চতুর অন্তর তাঁর নিজস্ব কোন একাউন্ট ব্যবহার করেনি। অবশেষে তাকে ভিসা নং ৬১৩৪৩৭৮২১৫ দিয়ে সবকিছু ঠিকঠাক আছে বলে নিশ্চিত করে।

আব্দুর রশিদ চাকরি থেকে অব্যহতি নেওয়ার প্রস্তুতি নিলে ভিসা কপিসহ অব্যহতির আবেদন দিতে গেলে জানতে পারে অফিস থেকে , এই ভিসা তাঁর নামে নেই আপনি প্রতারনায় পড়েছেন ।আব্দুর রশিদ পুনরায় ভিসা চেক দেওয়ার জন্য পাশে কম্পিউটার এর দোকানে গেলে নিশ্চিত হন যে গোলাম কিবরিয়া নামে একজনের ভিসা এডিট করে তাকে পাঠিয়েছে প্রতারক চক্রের মূলহোতা অন্তর । এই বিষয়ে তাঁর কাছে জানতে চাইলে আব্দুর রশিদকে এক পর্যায়ে তাঁর স্ত্রী দিয়ে ফাঁসানোর ভয় দেখায়।

ভুক্তভুগি প্রতারক চক্র প্রভাবশালী হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আশংকার কথা জানিয়েছে । সবশেষে অনুসন্ধানী টীম এই চক্রের মূলহোতাকে মোবাইলে কল দিলে প্রতারক বলে উনার টাকার দেওয়ার কোন প্রমাণ নাই বরং তাঁর কাছ থেকে আরও ৭০ হাজার টাকা পায় ।

তবে আমাদের অনুসন্ধানী টীম বাকি আরও চারজন ভুক্তভুগির সাথে যোগাযোগ করলে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এমনটাই অভিযোগ করেছে এই প্রতারক চক্রের মুলহোতা অন্তরের নামে ।

এলাকায় তথ্য নিয়ে জানা যায় এইভাবে এই প্রতারক, ইউরোপ , মধ্যপ্রাচ্যসহ অনেক জায়গায় লোক পাঠানোর কথা বলে অনেক কে হয়রানি ও মানব পাচার চক্রের সাথে জড়িয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ।

এখন তাঁর সব শেষ পরিবার নিয়ে অসহায় হয়ে পরেছে । গার্মেন্টসের সামন্য সামান্য করে জমানো টাকা হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছে আব্দুর রশিদের পরিবারটি ।

হোসেন পুর এলাকার সচেতন মহলের দাবি এই সব প্রতারকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে আরও অনেক পরিবার নিঃস্ব হয়ে যাবে , তাঁরা আরো বলেন অন্তর একজন জুয়ায় আসক্ত ছেলে । জুয়ার টাকা জোগাড় করতেই এমন প্রতারনার আশ্রয় নিয়েছে ।

আমদের পরের অনুসন্ধানে অন্য আরেকজন ভুক্তভুগির নিঃস্ব হয়ে যাওয়ার রিপোর্ট দেখতে পাবেন ।