০৭:২১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারতে পালানো আওয়ামীলীগ নেতারা রাজনীতি চর্চার পাশাপাশি বেশি রূপ চর্চা ও বিনোদনে আগ্রহী হয়ে উঠেছে।

  • জনমত ডেস্ক
  • সময়: ১০:০৫:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫
  • ১১১

ভারতে পালানো আওয়ামীলীগ নেতারা রাজনীতি চর্চার পাশাপাশি বেশি রূপ চর্চা ও বিনোদনে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। এমনটাই প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক নিউজ “দ্য প্রিন্ট”

বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতারা বর্তমানে ভারতের কলকাতায় নির্বাসিত জীবন যাপন করছেন। সেখানে তারা কেবল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডেই সীমাবদ্ধ নন, বরং নিজেদের ব্যক্তিগত জীবন ও দৈনন্দিন রুটিনকেও নতুন করে সাজিয়ে নিয়েছেন। এই নির্বাসিত জীবনে তাদের কর্মকাণ্ডের মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য চর্চা থেকে শুরু করে নিয়মিত রাজনৈতিক বৈঠক।

দলীয় সূত্র এবং ঘনিষ্ঠ মহল থেকে জানা যায়, কলকাতার নিউ টাউন এলাকায় অবস্থানরত এই নেতারা তাদের দিনের অনেকটা সময় ব্যয় করছেন স্বাস্থ্য সচেতনতায়। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতাকে নিয়মিত জিমে যেতে দেখা যাচ্ছে, যেখানে তারা শরীরচর্চা করছেন। সাম্প্রতিক সময়ে, তাদের মধ্যে পিলেটস (Pilates) নামক এক ধরনের বিশেষ ব্যায়ামের প্রতিও আগ্রহ দেখা গেছে, যা শরীরের নমনীয়তা ও ভারসাম্য রক্ষার জন্য পরিচিত। এই ধরনের শরীরচর্চার মাধ্যমে তারা মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখারও চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে।

একইভাবে, সৌন্দর্যের প্রতিও তাদের মনোযোগ বেড়েছে। কয়েকজন প্রবীণ নেতার চুল প্রতিস্থাপন (hair transplant) করানোর খবরও সামনে এসেছে। জনসমক্ষে নিজেদের সতেজ ও আকর্ষণীয় রাখার জন্য এটি তাদের একটি প্রচেষ্টা বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে এই ব্যক্তিগত ব্যস্ততার পাশাপাশি তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডও সমানতালে চলছে। সন্ধ্যায় তারা নিয়মিত অনলাইন বৈঠকে যোগ দেন। এই বৈঠকগুলোতে তারা বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা করেন, দলের বর্তমান কৌশল নির্ধারণ করেন, এবং তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করেন। এই ভার্চুয়াল বৈঠকগুলোই এখন তাদের মূল রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম, যার মাধ্যমে তারা দেশে ফিরে আসার কৌশল এবং মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারকে উৎখাতের পরিকল্পনা করছেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, কলকাতার এই জীবনযাত্রা তাদের জন্য একদিকে যেমন মানসিক স্বস্তি ও আত্ম-যত্নের সুযোগ করে দিয়েছে, তেমনি অন্যদিকে দলের প্রতি তাদের অঙ্গীকার ও ফিরে আসার আকাঙ্ক্ষাকেও সজীব রেখেছে।

 

ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

জনপ্রিয় খবর

শীঘ্রই আসছে জনমত নিউজ ২৪

ইতালির প্রধানমন্ত্রীর এশিয়া সফর স্থগিত।

ভারতে পালানো আওয়ামীলীগ নেতারা রাজনীতি চর্চার পাশাপাশি বেশি রূপ চর্চা ও বিনোদনে আগ্রহী হয়ে উঠেছে।

সময়: ১০:০৫:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫

ভারতে পালানো আওয়ামীলীগ নেতারা রাজনীতি চর্চার পাশাপাশি বেশি রূপ চর্চা ও বিনোদনে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। এমনটাই প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক নিউজ “দ্য প্রিন্ট”

বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতারা বর্তমানে ভারতের কলকাতায় নির্বাসিত জীবন যাপন করছেন। সেখানে তারা কেবল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডেই সীমাবদ্ধ নন, বরং নিজেদের ব্যক্তিগত জীবন ও দৈনন্দিন রুটিনকেও নতুন করে সাজিয়ে নিয়েছেন। এই নির্বাসিত জীবনে তাদের কর্মকাণ্ডের মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য চর্চা থেকে শুরু করে নিয়মিত রাজনৈতিক বৈঠক।

দলীয় সূত্র এবং ঘনিষ্ঠ মহল থেকে জানা যায়, কলকাতার নিউ টাউন এলাকায় অবস্থানরত এই নেতারা তাদের দিনের অনেকটা সময় ব্যয় করছেন স্বাস্থ্য সচেতনতায়। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতাকে নিয়মিত জিমে যেতে দেখা যাচ্ছে, যেখানে তারা শরীরচর্চা করছেন। সাম্প্রতিক সময়ে, তাদের মধ্যে পিলেটস (Pilates) নামক এক ধরনের বিশেষ ব্যায়ামের প্রতিও আগ্রহ দেখা গেছে, যা শরীরের নমনীয়তা ও ভারসাম্য রক্ষার জন্য পরিচিত। এই ধরনের শরীরচর্চার মাধ্যমে তারা মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখারও চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে।

একইভাবে, সৌন্দর্যের প্রতিও তাদের মনোযোগ বেড়েছে। কয়েকজন প্রবীণ নেতার চুল প্রতিস্থাপন (hair transplant) করানোর খবরও সামনে এসেছে। জনসমক্ষে নিজেদের সতেজ ও আকর্ষণীয় রাখার জন্য এটি তাদের একটি প্রচেষ্টা বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে এই ব্যক্তিগত ব্যস্ততার পাশাপাশি তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডও সমানতালে চলছে। সন্ধ্যায় তারা নিয়মিত অনলাইন বৈঠকে যোগ দেন। এই বৈঠকগুলোতে তারা বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা করেন, দলের বর্তমান কৌশল নির্ধারণ করেন, এবং তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করেন। এই ভার্চুয়াল বৈঠকগুলোই এখন তাদের মূল রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম, যার মাধ্যমে তারা দেশে ফিরে আসার কৌশল এবং মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারকে উৎখাতের পরিকল্পনা করছেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, কলকাতার এই জীবনযাত্রা তাদের জন্য একদিকে যেমন মানসিক স্বস্তি ও আত্ম-যত্নের সুযোগ করে দিয়েছে, তেমনি অন্যদিকে দলের প্রতি তাদের অঙ্গীকার ও ফিরে আসার আকাঙ্ক্ষাকেও সজীব রেখেছে।